মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার খাবার-
মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসা:
মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার খাবার সম্পর্কে অনেকেই জানতে চাই। সাধারণত আমরা মনে করে থাকি যে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকতে হবে। তবে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখা যায়।
আপনি যদি আপনার মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চান এবং শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকতে চান তাহলে সঠিক নিয়মে এবং পুষ্টিকর খাবার গুলো খেতে হবে। মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার খাবার কোনগুলো চলুন জেনে নেই।
সূচিপত্র: মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য যে সকল খাবার খেতে হয়
মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার খাবার:
মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার খাবার সম্পর্কে অবশ্যই আমাদের জেনে রাখা উচিত। বিভিন্ন কারণে দেখা যায় যে আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে যায়। আমরা যদি এই মানসিক স্বাস্থ্য ভালো করতে চাই তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে পুষ্টিকর খাবার গুলো গ্রহণ করতে হবে। বেশ কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো আমাদের সুস্বাস্থ্য চাঙ্গা করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। স্বাস্থ্যগত এই খাবারগুলো অবশ্যই আমাদের তালিকায় নিয়মিত রাখা উচিত।
মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে বিভিন্ন ধরনের বাদাম খেতে হবে। তাছাড়া তেল যুক্ত মাছ, জলপাই তেল, তিলের তেল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। শস্য বীজ খাবার গুলোর মধ্যে তিল, তিসি ইত্যাদি স্বাস্থ্যকর তেল কারো বেশি বেশি খাওয়া যেতে পারে।
বেশ কিছু খাবার রয়েছে যেগুলোকে এড়িয়ে চলতে হবে এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো অতিরিক্ত সাদা চিনি এবং চিনিযুক্ত খাদ্য ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের চিপস তাছাড়া সফট ড্রিঙ্ক এই খাবারগুলো থেকে আমাদেরকে বিরত থাকতে হবে।
দিনের বেলায় বেশি বেশি ফলমূল এবং শাকসবজি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। কারণ ফলমূল এবং শাকসবজির মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান।
মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে আমাদেরকে আস যুক্ত খাবার বেশি পরিমাণে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। তাছাড়া ফলমূল এবং শাক সবজি খেতে হবে এবং পাশাপাশি লাল চাল ও লাল গম ভালো আঁশের খেতে হবে।
মানসিক স্বাস্থ্য ভালো করতে হলে অবশ্যই আমাদেরকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। অধিক পরিমাণে চিনি খাওয়ার অভ্যাস বাদ দিতে হবে এবং ফলের রস বা অন্য পানীয় যেগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ভালো সেগুলো খেতে হবে।
খাদ্য তালিকায় অবশ্যই আমিষ জাতীয় খাবার রাখতে হবে। কারণ এই ধরনের খাবারগুলো আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো করতে খুবই কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
মানসিক স্বাস্থ্য খারাপ হওয়ার কারণ:
মানসিক স্বাস্থ্য খারাপ হওয়ার কারণ আমরা অনেকেই জানিনা। নিজেকে সুস্থ রাখতে হলে অবশ্যই আমাদের কে শারীরিকভাবে এবং মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে। আপনি যদি শারীরিকভাবে সুস্থ থাকেন এবং মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন তাহলে কখনোই নিজেকে সুস্থ অনুভব করতে পারবেন না। যদি আপনি নিজেকে সুস্থ রাখতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে মানসিক এবং শারীরিক এই দুই ভাবে সুস্থ থাকতে হবে।
মানসিক স্বাস্থ্য হওয়ার অনেকগুলো কারণ রয়েছে সাধারণত একটিমাত্র কারণেই কখনোই মানসিক স্বাস্থ্য খারাপ হয় না। মানুষের স্বাস্থ্য খারাপ হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হল অতিরিক্ত পরিমাণে মানসিক চাপ। আমাদের মধ্যে যদি কেউ অতিরিক্ত মানসিক চাপের মধ্যে থাকে তাহলে তার মানসিক স্বাস্থ্য খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
যখন আমরা হঠাৎ করে কোন ধরনের খারাপ খবর শুনে এবং সেই খবর আমাদের অনেক কষ্ট দেয় সাধারণত তখনো মানুষের স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। বিশেষ করে কোন প্রিয়জনের মৃত্যু অথবা বিচ্ছেদ আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যকে একেবারেই খারাপ করে দেয়।
মানসিক স্বাস্থ্য খারাপ হওয়ার আরো একটি কারণ রয়েছে সেটি হল মাথায় আঘাত পাওয়া। যদি কেউ জোরে মাথায় আঘাত পায় তাহলে অনেক সময় দেখা যায় যে মানসিক স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে গিয়েছে। এটিকে মানসিক স্বাস্থ্য খারাপ হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
মানসিক চাপ কেন বেড়ে যায়:
মানুষের স্বাস্থ্য ভালো রাখার খাবার কোনগুলো এ সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যেই জেনেছি। মানসিক সমস্যা হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হলো অতিরিক্ত পরিমাণে মানসিক চাপ। এখন বিষয় হচ্ছে মানসিক চাপ। আসলে কি? আমরা যখন কোন একটি বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত পরিমাণের দুশ্চিন্তা করি এবং সব সময় সে বিষয়টি চিন্তাভাবনা করতেই থাকে তখন আমাদের মানসিকভাবে চাপ সৃষ্টি হয়।
সাধারণত এই ধরনের চাপকেই মানসিক চাপ বলা হয়ে থাকে ইতিমধ্যে বলেছি যে মানসিক চাপ হল অন্যতম প্রধান কারণ অতিরিক্ত পরিমাণের দুশ্চিন্তা করা। যখন আমাদের সাথে কোন একটি দুর্ঘটনা ঘটে অথবা আমাদের বিরুদ্ধে কোন ধরনের কাজ করা হয় সাধারণত তখন এই ধরনের দুশ্চিন্তা বেশি আসে। তাই এই বিষয়টি বলতে পারে যে মানসিক চাপ বেড়ে যাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হলো পরিমাণ এর দুশ্চিন্তা।
মানসিক স্বাস্থ্য খারাপ হওয়ার লক্ষণ:
মানসিক স্বাস্থ্য খারাপ হওয়ার লক্ষণ জানা থাকলে আমরা খুব সহজেই এই সমস্যাটি নির্ণয় করতে পারব। আমাদের যে ধরনের রোগে আক্রমণ করে সাধারণত প্রতিটি রোগের বেশ কিছু নির্দিষ্ট লক্ষণ রয়েছে। ঠিক একই রকম ভাবে মানুষের স্বাস্থ্য যদি খারাপ হয় তাহলে বেশ কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। তাহলে চলুন মানুষের স্বাস্থ্য খারাপ হওয়ার লক্ষণ গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
সব সময় নিজেকে অসুখী মনে করা--যদি আপনি কোন ধরনের দুশ্চিন্তা করেন আপনার মাঝে সব সময় একটি বিষয় পরিখিত হবে যে আপনি সবসময় নিজেকে অসুখী মনে করতে থাকবেন। আপনার মনে হবে এই পৃথিবীতে আপনার চাইতে অসুখী মানুষ হয়তো আর কেউ নেই।
পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হওয়া--মানসিক সমস্যার অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয় পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হওয়া এই সমস্যা কে। আপনি যখন অতিরিক্ত পরিমাণে মানসিক চাপের মধ্যে থাকবেন তখন আপনার পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম হবে না।
খুদা কমে যাওয়া--এমনি সময় দেখা যায় যে সঠিক সময়ে ক্ষুধা লেগে যায় ।কিন্তুু যখন আপনি মানসিক চাপের মধ্যে থাকবেন অথবা মানসিক সমস্যা দেখা দেবে তখন আপনার এই ক্ষুধার চাপ অনেকটাই কমে যাবে। সব সময় মনে হবে আপনার পেট ভরা রয়েছে।
পছন্দের কাজগুলোর প্রতি আগ্রহ কমে যাওয়া --সাধারণত আমরা যে কাজগুলো করি এগুলো আমাদের পছন্দ তাই করে থাকি সাধারণত আমরা যে কাজগুলো করি এগুলো আমাদের পছন্দ তাই করে থাকি। যদি মানসিক সমস্যা দেখা দেয় তাহলে আমাদের এই পছন্দের কাজগুলো করার আগ্রহ অনেকটাই কমে যায়।
কোন কিছুতে মনোযোগী হওয়া যায় না--যখন আমাদের মানসিক সমস্যা দেখা দেয় সাধারণত তখন আমরা কোন কিছুতেই মনোযোগী হতে পারি না। মনোযোগী হতে হলে অবশ্যই আমাদেরকে মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে।
আত্মহত্যার চিন্তা করা--যখন আমরা মানসিকভাবে অতিরিক্ত পরিমাণে ভেঙ্গে পড়ি। সাধারণত তখন মনের ভেতর বিভিন্ন ধরনের চিন্তা আসে। এই চিন্তা গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো আত্মহত্যার চিন্তা করা। আমাদের মনে এরকম হয় যে আমরা যদি আত্মহত্যা করে দেই তাহলেই সব কিছু শেষ হয়ে যাবে।
মানসিক চাপ হলে কি কি সমস্যা হয়:
মানুষের স্বাস্থ্য ভালো রাখার খাবার সম্পর্কে ইতিমধ্যেই জেনেছি। তাছাড়া মানুষের সমস্যা বোঝার বেশ কিছু লক্ষণ রয়েছে সাধারণত এই লক্ষণগুলো প্রকাশ পেলে বুঝতে হবে আমাদের মানসিক সমস্যা হয়েছে। এ বিষয়গুলো ইতিমধ্যে বিস্তারিত উল্লেখ করেছি। সাধারণত এখান থেকে আপনি খুব সহজেই জানতে পারবেন যে মানসিক চাপ হলে কি কি সমস্যা হয়ে থাকে।
১.মানসিক চাপ হলে অতিরিক্ত পরিমাণের দুশ্চিন্তা হয়ে থাকে।
২.মানসিক চাপের কারণে আমাদের শারীরিক স্বাস্থ্য নষ্ট হয়ে যায়।
৩.মানসিক চাপের কারণে সব সময় মাথাব্যথা অনুভব করে।
৪.মানসিক চাপের কারণে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম হয় না।
৫. মানসিক চাপের কারণে ক্ষুধা কমে যায়।
৬. মানসিক চাপের কারণে কাজ ও মনোযোগী হয়ে যায়।
৭. মানসিক চাপের কারণে বিভিন্ন ধরনের খারাপ চিন্তা মাথায় আসে।
মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায়:
মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় জানা থাকলে আমরা খুব সহজেই আমাদের মানুষের স্বাস্থ্য ভালো করতে পারব। যেহেতু আমরা ইতিমধ্যেই মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে বেশ কিছু আলোচনা করে এসেছি এবং মানসিক স্বাস্থ্য কিভাবে খারাপ হয়? খারাপ হলে এটা বুঝার উপায় কি? এ বিষয়ে গুলো আলোচনা করেছি সেহেতু এখন মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় গুলো সম্পর্কে জানতে হবে।
মেডিটেশন করতে হবে।
শরীরচর্চা করতে হবে।
পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে।
বন্ধুদের সময় দিতে হবে।
নতুন নিয়ম মেনে চলতে হবে।
অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করা যাবে না।
চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
মেডিটেশন করতে হবে-আমরা যদি আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো করতে চাই তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে মেডিটেশন করতে হবে। মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার অন্যতম প্রধান উপায় হল এ-টি।
শরীর চর্চা করতে হবে--মানুষের স্বাস্থ্য ভালো রাখার আরো একটি উপায় রয়েছে সেটি হল শরীর চর্চা করা। আমরা অনেকেই মনে পড়ে থাকি যে শরীরকে সুস্থ রাখতে হলে শরীরচর্চা করতে হবে। বিষয়টি অনেকটাই ঠিক কিন্তু মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে হলে শরীরচর্চা করতে হবে।
পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে--আমরা যদি মানসিক এবং শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে চাই তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে পর্যাপ্ত পরিমাণে কমাতে হবে। কারণ ঘুম হলো আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
বন্ধুদের সময় দিতে হবে--আমরা অনেক সময় একা হয়ে পড়ি যার ফলে আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে যায়। তাই এই একাকীত্ব কাটাতেবন্ধুদেরকে সময় দিতে হবে।
নতুন কিছু শিখতে হবে--মানুষের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার আরেকটু অন্যতম উপায় হল নতুন কিছু শেখার কিচ্ছা এবং আগ্রহ থাকতে হবে। নতুন কিছু শিখতে পারলে সাধারণত আমাদের মানসিক চাপ অনেকটাই কমে যায়।
পছন্দের জায়গায় বেড়াতে যেতে হবে--সাধারণত আমাদের সবার দেখা যায় যে কিছু নির্দিষ্ট জায়গা রয়েছে যেগুলো অনেক পছন্দের হয়ে থাকে। যদি আপনি মানসিক সমস্যায় ভুগে থাকেন এবং এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে আমাদের পছন্দের জায়গায় বেড়াতে যাওয়া উচিত।
নিয়ম মেনে চলতে হবে--মানুষের স্বাস্থ্য ভালো রাখার একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যকরী উপায় হল নিয়ম মেনে চলতে হবে। সাধারণত আমরা মানুষ হিসেবে সমাজের বসবাস করি। যদি নিয়ম মেনে চলি তাহলে আমাদের জীবনটা অনেকটাই সহজ হয়ে যায়।
অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করা যাবে না--বর্তমান সময়ে মানসিক সমস্যা হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হলো অতিরিক্ত পরিমাণে মোবাইল এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করা। যদি এই সমস্যার সমাধান পেতে চান তাহলে অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে-- উপরের উল্লেখ করা উপায় গুলো অবলম্বন করে যদি আমরা আমাদেরকে মানসিকভাবে সুস্থ করতে না পারি তাহলে সর্বশেষ উপায় হল চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। চিকিৎসকের নিয়ে কাজ করলে অবশ্যই মানসিকভাবে সুস্থ হতে পারব।
মানসিক অস্থিরতা থেকে মুক্তির উপায়:
মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার খাবার কোনগুলো খেতে হবে? এ বিষয়টি ইতিমধ্যে জানানো হয়েছে। যখন আমরা অতিরিক্ত পরিমাণে মানসিক চাপের মধ্যে ভুগি সাধারণত তখন মানুষের অস্থিরতা দেখা দেয়। যদি এই অস্থিরতা থেকে মুক্তি পেতে চাই। তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে বেশ কিছু করণীয় অবলম্বন করতে হবে। ইতিমধ্যেইআমরা মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় গুলো উল্লেখ করেছি। আপনি এই উপাগুলো অবলম্বন করে মানসিক অস্থিরতা কমাতে পারবেন।
মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসা:
মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসা করানোর জন্য অবশ্যই ভালো চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। মানসিক চাপ কিভাবে বেড়ে যায়? এবং সমস্যা হলে আমাদের কি করতে হবে? এ বিষয়গুলো ইতিমধ্যে আলোচনা করা হয়েছে। আমরা যদি উপরের উল্লেখ করা উপায়গুলো অবলম্বন করে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো করতে না পারি তাহলে আমাদেরকে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। বর্তমান সময়ে বেশ কিছু চিকিৎসা রয়েছে যারা ভালো মানের মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসা দিয়ে থাকে। যদি এই উপায় গুলো অবলম্বন করে কোন ধরনের উপন্যাস পাওয়া যায় তাহলে চিকিৎসা নেওয়াই সব থেকে ভালো। কারণ চিকিৎসা না নিলে অনেক সময় এই সমস্যাটি বেড়ে যেতে পারে। তাই তাড়াতাড়ি চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
মানসিক চাপ কমানোর ওষুধ:
মানসিক চাপ কমানোর ওষুধ সম্পর্কে জানতে চাই। সাধারণত আমরা যখন অসুস্থ হই। তখন এই অসুস্থতা দূর করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সেবন করে থাকি। তবে দুশ্চিন্তার কোন ওষুধ নেই। এ বিষয়টি কমবেশি আমরা সবাই জানি। আমরা যখন কোন একটি বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত পরিমাণে চিন্তাভাবনা করি সাধারণত তখন সে চিন্তা ভাবনা যদি খারাপ হয়। তাহলে সেটি দুশ্চিন্তা হয়ে যায়।
কিন্তু কমানোর বিভিন্ন ধরনের উপায় রয়েছে। আপনি যদি এই উপায় গুলো অবলম্বন করতে পারেন। তাহলে খুব সহজেই মানুসিক চাপমুক্ত হতে পারবেন। মানসিক চাপ কমানোর জন্য কোন ধরনের ওষুধ সেবন করা উচিত নয়। যদি ওষুধ সেবন করতেই চান তাহলে অবশ্যই একজন ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তারপরে ওষুধ সেবন করার চিন্তা ভাবনা করবেন।
লেখকের শেষ মন্তব্য
মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার খাবার নিয়ে আলোচনা শুরু করে বিস্তারিত ভাবে মানুষের স্বাস্থ্য ভালো করতে হলে কোন কাজগুলো করতে হবে। এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি একজন সচেতন মানুষ হয়ে থাকেন এবং মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে চান। তাহলে অবশ্যই আর্মাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে করা উচিত। আশা করছি আপনি আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে বিস্তারিত ভাবে বিষয়গুলো জানতে পেরেছেন। এতক্ষন আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক বিষয় নিয়মিত জানতে হলে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url